কক্সবাজারে পর্যটক বিনোদনে পরিকল্পিত উদ্যোগ গড়ে ওঠেনি

 

কক্সবাজারে পর্যটক বিনোদনে পরিকল্পিত উদ্যোগ গড়ে ওঠেনি

ফাইল ছবি

কক্সবাজারে পর্যটক বিনোদনে পরিকল্পিত উদ্যোগ গড়ে ওঠেনি

অনলাইন ডেস্ক

পর্যটননগরী কক্সবাজার ঘিরে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা এখনো পরিকল্পনায়ই সীমাবদ্ধ। কক্সবাজারকে স্মার্ট নগরীতে রূপান্তরের ২০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ সবে শুরু হয়েছে। সে পরিকল্পনা অনুমোদন শেষে বাস্তবায়নে আরও কত বছর লাগবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অথচ সাশ্রয়ী গণপরিবহন রেলযাত্রায় যুক্ত হয়ে গেছে কক্সবাজার।

 

আসছে ১ ডিসেম্বর রেলপথে কক্সবাজার যেতে শুরু করবেন দেশি পর্যটকরা। খুব শিগগিরই কক্সবাজার বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ে খুলে দিলে সমুদ্র ছুঁয়ে বিমান নামবে পর্যটননগরীতে। বর্তমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একসময় এভিয়েশন হাব হিসেবে পরিণত হবে কক্সবাজার এয়ারপোর্ট।

রেলযাত্রা উদ্বোধনের দিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন এ রেলপথ সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গেও কক্সবাজার রেলপথ সংযুক্ত করা হবে। তার মানে অল্প সময়ের মধ্যেই কক্সবাজারের সঙ্গে সড়ক, রেল ও বিমান পথে স্বাচ্ছন্দ্যের ত্রিমাত্রিক যোগাযোগ শুরু   হবে। প্রতিদিন আরও বিপুলসংখ্যক মানুষ পর্যটননগরী কক্সবাজার বেড়াতে যাবে। কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক পর্যটকের বিনোদনে পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ গড়ে ওঠেনি।

উল্লেখ্য, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের নগরী কক্সবাজারের পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রণীত হয় একটি মাস্টারপ্ল্যান। কিন্তু সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে তা কার্যকর হয়নি। অবশেষে প্রায় আট বছর পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় শুরু হয় নতুন মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট-সিএসসির তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যে পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিএসসি নিয়োগ গত ১৬ আগস্ট ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করে। প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। এর মাধ্যমে ‘কক্সবাজারকে স্মার্ট শহরে রূপান্তরের’ জন্য ২০২৩ থেকে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হবে, যদিও পরিকল্পনা প্রণয়নেই মেয়াদের দেড় বছর চলে যাচ্ছে। আরও বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন

Comments

Popular posts from this blog